রহস্যে ঘেরা জটার দেউল। মনিনদীর তীরে অবস্থিত। সুন্দরবন
Partha's Travel Records Partha's Travel Records
979 subscribers
2,727 views
0

 Published On Dec 30, 2023

#ancient_temple #temple #jatar_deul #jatardeul #shiva #shiva_temple #sundarbans #brick_temple #hindugod #hindu_god #Archaeological_Survey_of_India #ASI #old_temple #hindu_temple #History_of_westbengal
#british #bangla #royelbengaltiger #bada #jatarghat #moninodi #moniriver #kankandighi
#History_of_shiva





পথনির্দেশ ---
শিয়ালদহ থেকে নামখানা অথবা লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল ধরে নামতে হবে মথুরাপুর স্টেশন এ।
তার পর অটো অথবা বাস ধরে রাইদিঘি বাজার। সেখান থেকে টোটো বা অটো রিক্সা ধরে জটা দেউল মন্দির।

জটার দেউল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ডায়মন্ড হারবার মহকুমার মথুরাপুর ২নং সমষ্টি উন্নয়ণ ব্লকের ছোট শহর রায়দিঘির পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে কঙ্কনদিঘির নিকটে অবস্থিত। কলকাতা মহানগর হতে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক পথে আনুমানিক দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। আশেপাশের গ্রামের অবস্থান এবং মানুষজনের পরিচয়ে এটি একটি আঞ্চলিক তীর্থস্থান কিনা তা' স্পষ্ট নয়।

History of jatardeul---

জটার দেউল স্থাপত্যশৈলীতে একরকমের টাওয়ার মন্দির বা রেখা-দেউল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণে সুন্দরবনের জনবসতি অঞ্চলে পাথর-মুক্ত পলি এবং গুল্মাচ্ছন্ন পরিমণ্ডলে মণি নদীর মোহনায় কঙ্কনদিঘির পূর্বে ১১৬ নম্বর প্লটে অবস্থিত। আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটির ঘোষণামত আনুমানিক খ্রীস্টীয় একাদশ শতকে ইস্টক নির্মিত এই দেব দেউল জটাধারী শিবের নামানুসারে জটার দেউল নামে সমধিক পরিচিত।

প্রাচীন এই সৌধটি ১৮৬০-এর দশকে তৎকালীন মথুরাপুর থানার অন্তর্গত লট নং ১১৬ -এ গভীর জঙ্গল পরিস্কারের সময় আদিগঙ্গার খাত থেকে আবিষ্কৃত হয়। তবে সৌধটি ঠিক কবে, কখন, কীভাবে তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের মধ্যে। সৌধটির নিকটে প্রাপ্ত এক তাম্রশাসন থেকে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ডায়মন্ডহারবারের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছিলেন যে, এটি ৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ( বা ৮৯৭ শকাব্দে) বিক্রমপুরের চন্দ্র বংশের তৎকালীন রাজা জয়চন্দ্রের সময় তৈরি করা হয়। আবার বীরভূম জেলার কেন্দুলির পাশে অজয় নদীর দক্ষিণে প্রাচীন পাল বংশের শাসক দেবপালের আমলে তৈরি ইছাই ঘোষের দেউলের সাথে জটার দেউলের সাদৃশ্য লক্ষ্য করে অনুমান করা হয় যে, এটিও খ্রিস্টীয় নবম শতকে তৈরি। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ সতীশচন্দ্র মিত্র তার যশোহর-খুলনার ইতিহাস গ্রন্থে সৌধটিকে প্রতাপাদিত্যের বিজয়স্তম্ভ ও ওয়াচ টাওয়ার হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে এ এস আই তথা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের প্রাক্তন মহানির্দেশক কাশীনাথ নারায়ণ দীক্ষিতসহ অধিকাংশ প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, জটার দেউলের স্থাপত্যশৈলীর সাথে ওড়িশার দেউল স্থাপত্যের মিল আছে এবং সেদিক থেকে ও অন্যান্য আবিষ্কৃত নিদর্শন বিচার করে এর নির্মাণকাল আনুমানিক একাদশ শতাব্দী বলেই গণ্য করা হয়।



https://pixabay.com/users/21415682-21...

show more

Share/Embed