Published On Jan 18, 2023
মোয়া মানেই উঠে আসে জয়নগরের নাম। দুটোই যেন সমার্থক। কিন্তু মোয়ার আসল রাজধানী মোটেই জয়নগর নয়। এই জয়নগর ব্র্যান্ডের আড়ালেই হারিয়ে গেছে বহরু। যাই যাই শীতের আমেজে সেই জয়নগর আর বহরু থেকে ঘুরে এলাম।
শীত মানেই বনভোজন, নূতন গুড়, সন্দেশ, রসগোল্লা , আর কত কী ? মোয়া মানে জয়নগরের কথা মনে আসে । জয়নগরের মোয়া মানে একটা ব্র্যান্ড। আর ব্র্যান্ড হলে তা তো নকল হবেই । তাই যেখানে যা মোয়া তৈরি হচ্ছে সবই জয়নগরের নাম দিয়ে দিব্যি বিক্রি হচ্ছে। দোকানে নামী দামি প্যাকেটে যা বিক্রি হচ্ছে তার অধিকাংশ মোয়াই কিন্তু জয়নগরের নয় ।অন্তত এমনই দাবি করেছেন মোয়া শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ব্যবসায়ীরা । কিন্তু কী আছে জয়নগরে, যা অন্য মোয়ায় নেই ? সেটা জানতে ও বুঝতেই পাড়ি দিয়ে ছিলাম জয়নগর । ওখানে পৌঁছানোর পরে যেটা সবার আগে নজর কাড়বে, তা হল রাস্তার দু’ধারে সারি সারি মোয়ার দোকান। ছোট ছোট দোকান যেমন আছে, বড় দোকানও আছে , আছে হকারদের ব্যস্ততা। ট্রেন স্টেশনে এলেই শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি । জয়নগর নামটার সঙ্গে মোয়ার নামও জড়িয়ে আছে , তাই ট্রেনে যাওয়ার পথে এক মিনিটের বিরতিতেও অনেকে মোয়া কিনে ফেলেন।
আমরা জয়নগর পৌঁছাই বাইকে করে। গঙ্গাসাগর এর জন্য ট্রেনে ভিড় থাকায় এই ব্যবস্থা নেওয়া। মধ্যমগ্রাম থেকে জয়নগর সড়কপথে ৭০ কিমি সময় লাগে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট মত। আর sealdah থেকে ট্রেনে সময় লাগে জয়নগর মজিলপুর স্টেশন ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট মত।
জয়নগর এ আমরা গিয়েছিলাম খোকন দার দোকানে। অমায়িক ব্যাবহার যেমন ওনার তেমন ই ওনার ছেলে রাজেশ দার। আমাদের সম্পূর্ণ মোয়া তৈরি এবং তাদের ল্যাবরেটরি পুরো ঘুরিয়ে দেখালেন। সত্যি মোয়া আমরা খাই কিন্তু তার পিছনে কত মানুষের পরিশ্রম অভিজ্ঞতার হাত রয়েছে সেটা চিন্তার বাইরে। ওনাদের সম্পূর্ণ details আপনাদের দিয়ে দিলাম, আপনারাও যোগাযোগ করতে পারেন। তবে বলে রাখি এটা কোনো পেইড প্রমোশন নয়, ওনার দোকানের মোয়া খেয়ে ভালো লেগেছে বলেই আমরা ওনার দোকান কে দেখালাম।
খোকন দাস ও রাজেশ দাস
অফিস: দত্ত কমপ্লেক্স, জয়নগর মজীলপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
outlet: Joynagar Majilpur station road (১ নম্বর টিকিট কাউন্টার এর পাশে।
মোবাইল : 9732810826/9093037929
email 📨: [email protected]
www.khokans.com