‘বিদেশিনীর গান’ - এলেম নতুন দেশে/উদাসিনী-বেশে/মন যে বলে/আমি চিনি গো/পুরানো জানিয়া – Debabrata Biswas
jghosh64 @ Debabrata Biswas jghosh64 @ Debabrata Biswas
12.6K subscribers
20,163 views
454

 Published On Nov 3, 2022

সন ১৯২৪, নভেম্বর মাস – আর্জেন্টিনায় পৌঁছলেন রবীন্দ্রনাথ – ক্লান্ত ও অসুস্থ। কবির সঙ্গে রয়েছেন এল্মহারস্ট (Leonard Elmhirst) । কবি উঠেছেন আরজেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এয়ারস-এর একটি হোটেলে। সে খবর পৌঁছল তৎকালীন আরজেন্টিনার বিদুষী, বুদ্ধিজীবী, সমালোচক ও লেখিকা, অসামান্য সুন্দরী ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর কানে। ভিক্টোরিয়া ততদিনে আন্দ্রে গিদে কৃত গীতাঞ্জলীর ফরাসী অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছেন। অসুস্থ কবিকে দেখতে হোটেলে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে অনুরোধ করলেন ভিক্টোরিয়া বুয়েনস এয়ারস-এর অদূরে প্লাটা নদীর ধারে তাঁর ভিলায় গিয়ে থাকার জন্য। এল্মহারস্ট-এর আপত্তিতে কান না দিয়ে কবি গেলেন ভিক্টোরিয়ার বাসভবন প্রাসাদোপম ভিলা Miralrio San Isidro-তে। রইলেন প্রায় আড়াই মাস। রবীন্দ্রনাথ তখন ৬৩ আর ভিক্টোরিয়া ৩৪। পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে মৃদু গুঞ্জন ছড়াল…

রবীন্দ্রনাথ ভিক্টোরিয়ার নাম রাখলেন ‘বিজয়া’; উৎসর্গ করলেন তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘পুরবী’। ভিক্টোরিয়া লিখলেন প্রবন্ধ - ” Tagore on the banks of the river Plata” এবং পরবর্তীকালে বই - “Tagore en las barrancas de San Isidro”( Tagore on the ravines of San Isidro) । রবীন্দ্রনাথের কথা বলতে গিয়ে বললেন, “He is as near to me as my life”।

১৯২৫এর জানুয়ারিতে ফিরে গেলেন রবীন্দ্রনাথ। চিঠিপত্রর আদানপ্রদানের মাধ্যমে দুজনের মধ্যে যোগাযোগ রইল। ভিক্টোরিয়া একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথকে লিখলেন, “‘Dear Gurudev, days are endless since you went away”। উত্তরে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, “ when we were together, we mostly played with words and tried to laugh away our best opportunities. Whenever there is the least sign of the nest becoming a jealous rival of the sky .. my mind, like a migrant bird, tries to take … flight to a distant shore.” দুজনের আরও একবার দেখা হয়েছিল ১৯৩০-এ ফ্রান্সে। সেই শেষ দেখা।

এবার আসি গানের কথায়। দেবব্রত বিশ্বাসের গান যারা follow বা অনুসরণ করেন, তাঁরা জানেন, দেবব্রত বিশ্বাসের কয়েকটি ‘সিরিজ’ ছিল যেখানে তিনি কিছু গান একের পর এক সাজিয়ে একটি বিশেষ ক্রমে তিনি গাইতেন। তেমনই একটি ‘সিরিজ’, তাঁরই নামাঙ্কিত, ‘বিদেশিনীর গান’। এই সিরিজের পাঁচটি গান জর্জদা তাঁর প্রিয় ছাত্র শ্রী শিবাজী পাল মহাশয়কে রেকর্ড করে দিয়েছিলেন ১৯৭৪ সনের ১৭ই এপ্রিল তারিখে। শিবাজীদার অনুমতিক্রমে তা আমি আজ আপনাদের দরবারে পেশ করলাম।

জয়ন্তানুজ ঘোষ

পুনশ্চ -
এ প্রসঙ্গে আরও জানাই, ২রা সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩ রবীন্দ্রসদনে একটি অনুষ্ঠানে দেবব্রত বিশ্বাস এই , ‘বিদেশিনীর গান’ গেয়েছিলেন, যা রেকর্ড করেছিলেন শ্রী কল্যাণ মিত্র। সেই রেকর্ডিং আমি ৮ই অগাস্ট, ২০২০, Debabrata Biswas in the 1970-s - LIVE RECORDING (Part 4) নামে ইউটিউবে আমার চ্যানেলে আপলোড করেছিলাম। সেখানে জর্জদা আরও বেশ কয়েকটি গান এই সিরিজে যোগ করে একসাথে গেয়েছিলেন। অনুরোধ রইলো, আপনাদের একান্ত অবসরে সেই গানকটিও শোনার।

show more

Share/Embed