Published On Sep 13, 2024
মাল্টা ফলের ইতিহাস বাংলায় শুরু হয় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে। মাল্টা ফল, যা মূলত সাইট্রাস গণের অন্তর্ভুক্ত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার উষ্ণ অঞ্চলে প্রায় ৪,০০০ বছর আগে চাষ শুরু হয়েছিল। তবে, এটি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পায় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, বিশেষ করে ইতালি ও স্পেনে এর ব্যাপক চাষের মাধ্যমে।
মাল্টার নাম এসেছে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ মাল্টা থেকে, যেখানে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ফল হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রাচীনকালে মাল্টা ফলকে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ও পুষ্টিকর বিবেচনা করা হতো। রোমান এবং গ্রিকরা এটি ব্যবহার করত পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে।
ভারতীয় উপমহাদেশে মাল্টা ফলের আগমন ঘটে ঔপনিবেশিক আমলে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা এটি উপমহাদেশে পরিচয় করিয়ে দেয়, এবং এরপর থেকে এটি বাংলাদেশে বিশেষভাবে চাষ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে মাল্টা ফলের চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমানে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল হিসেবে বিবেচিত হয়।
মাল্টা ফলের পুষ্টিগুণ এবং স্বাদ এর জনপ্রিয়তাকে আরও বৃদ্ধি করেছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফলটি সাধারণত সরাসরি খাওয়া হয়, তবে এর রস ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত পণ্যও বেশ জনপ্রিয়।
বাংলাদেশে মাল্টা ফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং এটি দেশের অভ্যন্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ফসল হিসেবে গড়ে উঠছে।