Published On Aug 2, 2020
৬ মার্চ, ২০১৪ সালের কথা। নার্ভাস ব্রেক ডাঊন কি জিনিস, সেবার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম। বান্দরবান এক্সপেডিশানের ৭ম দিনে আমরা যখন সাজাই পাড়া থেকে আমিয়াকুম যাচ্ছিলাম, তখন এমনিতেই আমরা অনেক ক্লান্ত ছিলাম। কারণ আগের দিনই কেবল আমরা সাকা হাফং সামিট করে নেপিউ পাড়া থেকে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে সাজাই পাড়া এসে পৌঁছাই। তার উপর সাজাই পাড়া গিয়ে শুনতে পাই নাইক্ষ্যাং পাহাড় পুরোটাই জঙ্গল হয়ে আছে। এমনিতেই নাইক্ষ্যাং এর ট্রেইল খুব একটা সুবিধার না। তার উপর জঙ্গল হয়ে থাকা মানে অবস্থা বেগতিক।
তা অবস্থা যে কতটা বেগতিক সেটা হাঁটা শুরু করার পরপরই আমরা আস্তে আস্তে টের পাই। পুরো পাহাড় ভর্তি বাঁশ বাগান আর জানা অজানা গাছ পালার জঙ্গল। রাস্তার কোন নাম গন্ধ নেই। আর নামার পথ যে কতটুকু খাড়া সেটা আর না বলি। আর যেহেতু আমরা পাড়া থেকে কোন দড়ি নিয়ে যাইনি সেহেতু প্রতিটা খাড়া পাথর বেয়ে নামা আমাদের জন্য ছিল বিশাল বড় চ্যালেঞ্জ।
নাইক্ষ্যাং পাহাড়ের প্রায় পুরোটাই আমাদের নামতে হয়েছিল গাছের শিকড়, লতাপাতা, আর বাঁশ গাছ ধরে ধরে। বেশির ভাগ জায়গাতেই কোন প্রকার ছবি বা ভিডিও ধারণ করার মত শক্তি, ইচ্ছা বা সামর্থ্য কোন কিছুই ছিল না। কারণ গাছের শিকড় ছাড়া পা রাখার মত আর কোন জায়গা ছিল না। এই ভিডিওটা যে জায়গা থেকে ধারণ করা সেটা খুব সম্ভবত পাহাড়ের একমাত্র জায়গা যেখানে অন্তত কিছু সময় দাঁড়িয়ে ভিডিও করা সম্ভব। আর ফাহিম ভাই না থাকলে হয়ত এটিও সম্ভব হত না।
এখন যারা আমিয়াকুম যাচ্ছেন, তারা অনেক ভাগ্যবান। তাদেরকে এই ভয়ংকর নাইক্ষ্যাং পাহাড় পাড়ি দিয়ে আমিয়াকুম যেতে হয় না। দেবতা পাহাড় (জানিনা এটা আসলেও ওই পাহাড়ের নাম কিনা) এর রাস্তা বের না হলে হয়ত এখনও মানুষকে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমিয়াকুম দেখতে হত। একদিক দিয়ে ভালোই হত। প্রতি নিয়ত হাজার হাজার মানুষের অত্যাচারের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেত বাংলাদেশের এই অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক নিদর্শন, আমিয়াকুম।
যে পাহাড়ে পায়ের নিচে মাটি থাকে না | Amiakum through Naikkhyang | আমিয়াকুম, ভেলাখুম
For upcoming videos stay connected to my channel.
Do not forget to subscribe my channel: / a_kid_with_gun
▶ Check out my gear on Kit: https://kit.co/a_kid_with_gun
My facebook page: / akidwithgun
Follow me on instagram: / a_kid_with_gun