অঙ্গার।। উৎপল দত্ত।। Angaar।। Utpal Dutt।। বাংলা নাটক।। সংক্ষিপ্ত বিবরণ।।
সবার জন্য বাংলা স্কুল সবার জন্য বাংলা স্কুল
35.8K subscribers
1,728 views
33

 Published On Mar 9, 2024

অঙ্গার(১৯৫৯)' নাটকের মূল বিষয়বস্তু হল খনি শ্রমিকের জীবনের কথা, তাদের হাসি কান্না , শোষণ ও বঞ্চনার কথা। শ্রমিকদের সংগ্রামের কথা। এ নাটকের পটভূমি রচিত বিহারের তৎকালীন ঘটে যাওয়া খনি-দুর্ঘটনা- আগুন লাগা, জলে ডুবে শ্রমিকের মৃত্যু। খনি শ্রমিকের অর্থনৈতিক শোষণের নির্মম অভিজ্ঞতা টেনে এনেছেন।
উৎপল দত্ত একজন মার্কসবাদী নাট্যকার হিসেবে নাটকে শ্রমিক আন্দোলনের কথা তুলে ধরতে। শ্রমিকদের মূল চরিত্র রূপে দেখাতে, যা পূর্বে কেউ করতে পারেন নি। এদিক থেকে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করলেন তিনি 'অঙ্গার' নাটকের মাধ্যমে।
নাটকের শুরু হয় কয়লাখনির শটফায়ারার বিনুর মাধ্যমে। আর দশজন শ্রমিকের মত সেও স্বপ্ন দেখে পাহাড়ের কোলে ঘর তৈরির, মা বোন আর প্রেমিকাকে নিয়ে সুখে থাকার। কিন্তু উৎপল দত্ত তার উদ্দেশ্য পুরণের লক্ষে এখানেই গোলযোগের সৃষ্টি করলেন।
বিনুর সহকর্মী দীননাথ খনির মধ্যে আটকে মিথেন গ্যাসের প্রভাবে বিস্ফোরিত হয়ে মারা যায়। কিন্তু কোম্পানি এই দায় স্বীকার করে না। এমনকি তারা স্বীকার করে না যে কোন শ্রমিক মারা গেছে। কিন্তু শ্রমিকরা জানে তাদের শোষণের কথা—
'ভারতীয় মজুরদের প্রাণের মূল্য নেই। মরে গেলেও সৎকার হয় না। মুখ থেতলে উলঙ্গ করে ফেলে দেয় দূরে'
দীননাথের মৃতদেহ এমন করেই পঁচিশ মাইল দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
তৃতীয় দৃশ্যে দেখা যায় শ্রমিকদের নাজেহাল অবস্থা। এরা শুধু আর্থিকভাবেই চুড়ান্ত শোষিত হয় না। নিজের শরীর ক্ষয় করে কাজ করে যে মজুরির আশায়, সেটা পেতেও মুনশীকে ঘুষ দিতে হয় তাদের। কোম্পানি আইন মানে না। তাদের নিরাপত্তা দেয় না। তাদের জীবনের কোন মূল্য নেই কোম্পানির কাছে –
'আইন আছে সুড়ঙ্গ ষোল ফুটের বেশি হবে না। নইলে গ্যাস জমে। এখানে তো বাইশ ফুট পর্যন্ত চওড়া হয়।'
এসমস্ত কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে না চাইলে কোম্পানির ম্যানেজার, সুবাদার এসে তাদের হুমকি দেয়,ভীতি প্রদর্শন করে। কিন্তু এবার শ্রমিকরা জানায় গ্যাসের সমস্যা দূর না হলে তারা কাজ করবে না। নাটকের এ অংশে এসে কিছুটা প্রতিবাদের দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু এটি শ্রেণী-সচেতনতা নয়। মৃত্যুর ভয়। কিন্তু প্রতিবাদের সূচনা এখান থেকেই হয়। শ্রমিক নেতা কুদরৎ হরতালের আহবান জানায়—
'যতদিন না গ্যাস পরিষ্কার হচ্ছে, ততদিন হরতাল...'
চতুর্থ দৃশ্যে দেখতে পাই কোম্পানির ক্ষতি এবং হরতালের কারণে শ্রমিকদেরর কর্মহীনতা। ফলে কোম্পানি তাদের লোভ দেখায় গ্যাস পরিষ্কার হয়েছে বলে। যারা অভাব অনটনে আছে তারা কাজে যোগ দিতে চায়। ফাঁদে পা দেয়। এতে উৎপল দত্ত দেখান যে শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই শ্রেণী চেতনার উন্মেষ ঘটে নি। কুদরৎ কে গ্রেফতাম করে পুলিশ এবং বিনু ও হাফিজ কোম্পানির ষড়যন্ত্র বুঝতে পারে। তারা বাকী শ্রমিকদেরকে কাজে যেতে না করে। কিন্তু অন্য শ্রমিকরা তা বুঝে না—
'ইউনিয়ন আমরা মানি না, মোট বোনাস দিচ্ছে—', 'এদ্দিন পরে দুটো পয়সার মুখ দেখব, সইছে না বুঝি।' 'কোম্পনির দয়া পায়ে ঠেললে ভাল হবে?'
বিনু কোম্পানির ষড়যন্ত্র বুঝলেও তা তার পরিবারকে বুঝাতে পারে না। তার মা ক্ষিপ্ত হয় তার প্রতি। সংসারের চিন্তা করতে বলে। মধ্যবিত্ত চিন্তার কারণে বিনুর মধ্যে শ্রেনী-সংগ্রামের থেকে পরিবারের চিন্তা বড় হয়ে দেখা দেয়। মায়ের প্রতি অতিরিক্ত ভালবাসা তার শ্রেনীচেতনাকে খর্ব করে। প্রচন্ড অভিমান থেকে সে সিদ্ধান্ত পালটে খনিতে কাজের সিদ্ধান্ত নেয়। নিজের অগোচরে সে কোম্পানির পাতা ফাঁদে পা দেয়।
আরিফ, রমজান, জয়নুল, হরিদাস এরা সবাই আত্মচেতনায় নিমজ্জিত চেতনাহীন শ্রমিক ।

#bangla_audio_story
#bangla_novel
#chander_amavasya
#bangla_audio_book
#bangla_story_book
***********
পর্ব বিভাজন
00:00 ভূমিকা/চরিত্র পরিচিতি
1:48 প্রথম দৃশ্য
13:04 দ্বিতীয় দৃশ্য
15:33 তৃতীয় দৃশ্য
23:17 চতুর্থ দৃশ্য
29:25 পঞ্চম দৃশ্য
34:11 ষষ্ঠ দৃশ্য
______________
👉For business inquiries: [email protected]

show more

Share/Embed