Published On Jun 5, 2022
#onedaytriptopurulia #hirajrajardeshe #satyajitroyshootingdestination #3unknowntouristplaceinpurulia
#Bandadeul #joychandipahar #moutorhkalimondir #natureloveatpurulia
#onedaytripfromkolkata
জয় চণ্ডী পাহাড়
________________
প্রবাদপ্রতিম পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা ‘হীরক রাজার দেশে’। মনে পড়ে হীরক রাজার অত্যাচারে উদয়ন পণ্ডিত এক পাহাড়ের গুহায় লুকিয়েছিলেন?… সেই পাহাড়ই হল জয়চন্ডী পাহাড়। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর মহকুমার রঘুনাথপুর-১ ব্লকে অবস্থিত জয়চন্ডী পাহাড় একটি প্রাকৃতিক এবং ধর্মীয় পর্যটনস্থল। রঘুনাথপুর শহর থেকে মাত্র ২ কিমি এবং আদ্রা শহর থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে অবস্থিত এই পাহাড় ভূপ্রাকৃতিক দিক থেকে ছোটোনাগপুর মালভূমির অন্তর্গত।
জয়চন্ডী পাহাড়ের উপরেই রয়েছে চন্ডী মাতার মন্দির। মা চন্ডীর নামানুসারেই সম্ভবত এই পাহাড়ের নামকরণ হয়েছে। জয়চন্ডী কোনো একটি একক পাহাড় নয়, অর্ধচন্দ্রাকারে পাশাপাশি অবস্থিত ৪টি পাহাড়ের সমষ্টি। প্রতিটি পাহাড়ের নিজস্ব নাম আছে — যোগীঢাল, রামসীতা, জয়চন্ডী, সিজানো। পাশেই রয়েছে আরেকটি পাহাড়, কালী পাহাড়। পুরো এলাকা জুড়েই রয়েছে বড়ো বড়ো পাথর-বোল্ডারের ভূদৃশ্য। জয়চন্ডী পাহাড়ের ঢাল খুবই খাড়া। এখানে পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও রয়েছে। জয়চন্ডী পাহাড়ের গড় উচ্চতা ১৫৫ মিটার (৫০৯ ফুট)। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, বহুবছর আগে ডাকাতরা এই পথ ব্যবহার করত।
জয়চন্ডী মাতার মন্দির এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। পাহাড়ের গায়ে প্রায় ৫০০-রও বেশি সিঁড়ি বেয়ে উঠলে পৌঁছে যাবেন পাহাড় চূড়োয় মন্দিরে। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় বাঁকে বাঁকে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে কিনতে পাবেন পুজোর সামগ্রী, জল সহ অনেক কিছুই। পাহাড়ের উপরে রয়েছে এক ওয়াচ টাওয়ার ; শোনা যায় কাশীপুরের রাজার সৈন্যরা এখান থেকে নজর রাখতেন বহুদূর পর্যন্ত। সিঁড়ি ভেঙে পাহাড় চূড়োয় ওঠা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। কিন্তু সেই কষ্ট এক নিমেষেই দূর হয়ে যাবে, যখন আপনি পাহাড়ের উপর থেকে নিচের দিকে চারিপাশে তাকিয়ে দেখবেন। আহা! কি অপরূপ দৃশ্য। চারিদিকে শুধু সবুজ ঘেরা প্রান্তর, একদিকে শহরের ব্যস্ত জীবন ও অন্যদিকে পাহাড়তলীর গ্রামীণ জীবন।
বান্দা দেউল
____________
লোকচক্ষুর অন্তরালে পড়ে থাকা বান্দার দেউল ভারতীয় স্থাপত্যশিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এটি একটি রেখ দেউল। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শহর থেকে যে রাস্তাটি সোজা চলে গেছে চেলিয়ামা গ্রামের দিকে, সেই রাস্তার ডান দিকে পড়ে বান্দা গ্রাম। বাস স্টপে নেমে ১ কিলোমিটার হাঁটাপথে এই দেউল প্রাঙ্গণে পৌঁছনো যায়। প্রায় ৭০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট প্রস্তর নির্মিত দেউলটি দিগন্ত বিস্তৃত পলাশ প্রান্তরে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাজার বছর ধরে। ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৫০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট একটি বৃহৎ বেদির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই দেউলটি; যদিও সেই বেদিটির বেশির ভাগ অংশের পাথর পড়ে গেছে। দেউলটি উত্তরমুখী। সম্মুখে পাথরের নির্মিত বৃহৎ মণ্ডপ। অতীতে এটি অনেক বড় ছিল, বর্তমানে সামান্য অংশই টিকে আছে। দেউলটির প্রবেশ পথের উচ্চতা ৬ ফুট, প্রস্থে ৩ ফুট। প্রবেশ পথে চোখে পড়ে প্রস্তর খোদিত অসামান্য কারুকার্য। সমগ্র দেউল জুড়েই রয়েছে বিবিধ কারুকার্য। দেউলটির উত্তর দিকের প্রবেশ পথের উপরের অংশের বেশ কিছু পাথর পড়ে গেছে।
আনুমানিক নবম-দশম শতাব্দীতে নির্মিত এই দেউলটি জৈনদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তবে বর্তমানে আর এই গ্রামে জৈনদের দেখা মেলে না।
মৌতর কালীমন্দির
__________________
রাজ্যের অন্যতম তথা পুরুলিয়া জেলার সবচেয়ে বড় কালীপুজো হল মৌতড়ের কালীপুজো। রঘুনাথপুর-২ নম্বর ব্লকের মৌতড়ের এই শতাব্দীপ্রাচীন কালীপুজোর মুখ্য আকর্ষণ হচ্ছে পশুবলি। আজও এখানে এক রাতে কয়েক হাজার ছাগ ও মোষ বলি দেওয়া হয়। আর তা দেখতে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে লাখ-লাখ ভক্ত ভিড় জমায়।
জনশ্রুতি রয়েছে, কয়েক শতাব্দী আগে মৌতড়ের এক সাধক এই কালীপুজোর সূচনা করেন। তখন এখানে কোনও মন্দির ছিল না। ওই সাধক পঞ্চমুণ্ডীর আসনে বসে সাধনা করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর এলাকাবাসী সেই পঞ্চমুণ্ডীর আসনের উপরে স্থায়ী কালী মন্দির নির্মাণ করেন এবং কালীপুজোর দিন মহা আড়ম্বরে দেবীর পুজো হয়। বছর দশেক আগে মন্দিরটির সংস্কারও হয়েছে। ওই মন্দিরের সেবাইত সুব্রত ভট্টাচার্য জানান, ২০১১ সালে মন্দিরটি নবরূপে তৈরি করা হয়। মন্দিরটি কলকাতার কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে পুনর্নিমাণ করা হয়েছে। তারপর মন্দিরে মৃন্ময়ী মূর্তি থেকে শিলা মূর্তি স্থাপন করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই কালী মন্দিরে কায়মনোবাক্যে মানত করলে তা পূরণ হবেই। তাই ধানবাদ, ঝরিয়া, রাঁচি, টাটা সহ ওড়িষা, অসম, বিহার থেকেও বহু মানুষ তাঁদের মানত পূরণের উদ্দেশ্যে এখানে আসেন। মানত পূরণ হলে ছাগ, মোষ বলি দেন।
মৌতড়ের পঞ্চমুণ্ডী আসনের উপর প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন বাদ দিয়ে বছরের প্রতিদিনই এখানে ছাগ বলি হয়। আর কালীপুজোর রাতে যে পশু বলি দেওয়া শুরু হয়, তা চলে পরদিন দুপুর পর্যন্ত। বলির জায়গায় রীতিমত রক্তের পুকুর তৈরি হয়ে যায়। লাখ-লাখমানুষের ভিড় উপচে পড়ে মন্দির প্রাঙ্গণে।
আমাদের channel এর পুরুলিয়া সিরিজ এর অন্য ভিডিও link-------
পুরুলিয়া এর আকর্ষণ বরন্তি--
• পুরুলিয়ার অচেনা Destination বরন্তী ড...
পুরুলিয়ার ঐতিহাসিক অভিযান গড়-পঞ্চকোট
• দেখে নিন পাহাড়ের উপর গড় পঞ্চকোট এর ...
ভিডিও টি ভালো লাগলে লাইক করুন, share করুন এবং চ্যানেল টি অবশ্যই subscribe করুন।যেকোনো মতামত এর জন্য কমেন্টও করতে পারেন।।
Thank you
/ @duotravelling