আত্মহত্যা যদি কপালে লেখাই থাকে তাহলে পাপ কেন হবে? জন্ম মৃত্যু বিয়ে কি আল্লাহতালা নির্ধারন করে দেন।
মেয়েদের মাসয়ালা মাসায়েল মেয়েদের মাসয়ালা মাসায়েল
17K subscribers
14,213 views
211

 Published On Nov 18, 2021

জন্ম_মৃত্যু_বিয়ে_কি_আল্লাহতালা_নির্ধারণ_করে_রাখেন
কার_সাথে_কার_বিয়ে_হবে_এটাকি_আল্লাহতালা_ফিক্সট_করে_দিছেন
কেউ_যদি_অন্য_কাউকে_ভালোবাসে_আল্লাহতালার_কাছে_চায়_আল্লাহতালা_দিবেন
আত্মহত্যা_যদি_কপালে_লেখা_থাকে_তাহলে_ব্যক্তির_পাপ_কেন_হবে

আকিদাইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা একটি জঘন্যতম মহাপাপ
সলামি দৃষ্টিকোণে আত্মহত্যা একটি জঘন্যতম মহাপাপ। আল্লাহ মানুষকে মরণশীল করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে একমাত্র আল্লাহই জন্ম দেন এবং একমাত্র তিনিই মৃত্যু ঘটান। কিন্তু আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বান্দা স্বাভাবিক মৃত্যুকে উপেক্ষা করে মৃত্যুকে নিজের হাতে নিয়ে নিজেই নিজকে হত্যা করে ফেলে।

আত্মহত্যা কি? আত্মহত্যা মানে নিজকে নিজেই ধ্বংস করা। নিজ আত্মাকে চরম যন্ত্রণা ও কষ্ট দেয়া। নিজ হাতে নিজের জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের পরিসমাপ্তি ঘটানোর নামই আত্মহত্যা। ইসলামে আত্মহত্যার ভয়াবহ পরিনাম ইসলামি দৃষ্টিকোণে আত্মহত্যা একটি জঘন্যতম মহাপাপ। আল্লাহ মানুষকে মরণশীল করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে একমাত্র আল্লাহই জন্ম দেন এবং একমাত্র তিনিই মৃত্যু ঘটান। কিন্তু আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বান্দা স্বাভাবিক মৃত্যুকে উপেক্ষা করে মৃত্যুকে নিজের হাতে নিয়ে নিজেই নিজকে হত্যা করে ফেলে। এ কারণে এটি একটি গর্হিত কাজ। কবিরা গুনাহ। আল্লাহ মহান এমন কাজকে মোটেই পছন্দ করেন না। এ কারণে যদিও শরিয়তে নির্দেশনায় আত্মহত্যাকারীর জানাযা হয় তবু রাসূল [সা.] নিজে কখনো আত্মহত্যাকারীর জানাযা পড়াননি। সাহাবিদের দ্বারা তা পড়ানো হয়। আত্মহত্যা ইসলামি শরিয়তে জঘন্যতম একটি পাপ, যার একমাত্র শাস্তি জাহান্নাম। নবিজি [সা.] আত্মহত্যাকারীর জানাজা আদায় না করা থেকেই অনুমান করা যায় যে আত্মহত্যা কত বড় পাপ। আত্মহত্যা ইহকাল, পরকাল উভয়টি ধ্বংস করে দেয়।যে কোনো কারণেই হোক না কেন, আত্মহত্যা মহাপাপ। জঘন্যতম পাপ। আত্মহত্যা প্রসঙ্গে রাসুল [সা.] কঠোর হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারণ করে গেছেন। মানুষ কেন আত্মহত্যা করে? আগেকার দিনের ইতিহাস থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, আত্মহত্যার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। সাংসারিক কলহ-দ্বন্দ্বে পড়ে, অতিরিক্ত রাগের কারণে, কাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু লাভ করতে না পারলে, নিরাশ বা বঞ্চিত হওয়ার কারণে, লজ্জা ও মানহানিকর কোনো কিছু ঘটে যাওয়া, বা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশ হওয়া, অভাব, দারিদ্র্যতার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার অসুখ-বিসুখে জর্জরিত হওয়ার কারণেও আত্মহত্যা হতে পারে।এছাড়াও আরো যে সব কারণে আমাদের সমাজে জঘন্য এই কাজটি ঘটে, তা হলো- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য,যৌতুকের কারনে ঝগড়া বিবাদ, পিতা-মাতা ও ছেলে-মেয়ের মধ্যে মনোমালিন্য, পরীক্ষায় ব্যর্থতা, প্রেম-বিরহ, মিথ্যা অভিনয়ের ফাঁদে পড়ে,ব্যবসায়ে বারে বারে ব্যর্থ হওয়া ইত্যাদি। যখন জ্ঞান-বুদ্ধি-উপলব্ধি-অনুধাবন শক্তি লোপ পায়, নিজকে অসহায়-ভরসাহীন মনে হয়, তখনই মানুষ আত্মহত্যা করে বসে। আল-কোরানে আত্মহত্যা প্রসঙ্গ এক. আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরানে এরশাদ করেছেন, ‘আর তোমরা আত্মহত্যা কর না, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়াশীল। [সুরা নিসা : ২৯] দুই. আল্লাহ আল কোরআনে বলেছেন- ‘তোমরা তোমাদের নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ কর না।’ (সূরা বাকারা; ১৯৫ আয়াত)। তিন. আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ যাবতীয় অপরাধ মার্জনা করেন।’ (সূরা জুমার; ৫৩ আয়াত)। চার. আল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করে জগতে বিপর্যয় সৃষ্টি বা হত্যার শাস্তি ব্যতিরেকে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। আর যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তিকে জীবন্ত রাখে সে যেন সব মানুষকেই জীবন্ত রাখে। (সূরা মায়িদা : ৩২ আয়াত)। আল-হাদিসে আত্মহত্যা প্রসঙ্গ এক. রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল। সে আহত হয়ে ছটফট করতে লাগল। এ অবস্থায় সে ছুরি নিয়ে নিজেই নিজের হাত কাটল ও ব্যাপক রক্তপাত ঘটল এবং তার মৃত্যু হলো।’ আল্লাহ এ ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমার এ বান্দা নিজের ব্যাপারে খুব তাড়াহুড়া করে ফেলছে। এ কারণে আমি তার প্রতি জান্নাত হারাম করে দিয়েছি।’ [ বোখারি :৩২৭৬] দুই. আবু হোরায়রা [রা.] থেকে বর্ণিত নবিজি [সা.] বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে আত্মহত্যা করতেই থাকবে এবং এটিই হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। যে ব্যক্তি বিষ পান করে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ তার হাতে থাকবে, জাহান্নামে সে সর্বক্ষণ বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে থাকবে। আর এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে লৌহাস্ত্রই তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে তা নিজ পেটে ঢুকাতে থাকবে, আর সেখানে সে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ [বোখারি ও মুসলিম]

show more

Share/Embed