Published On Mar 30, 2024
অষ্টাদশ শতাব্দীর সময় মুর্শিদাবাদ একটি সমৃদ্ধ শহর ছিল। সত্তর বছর ধরে এটি মুঘল সাম্রাজ্যের বঙ্গ সুবাহের রাজধানী ছিল, আধুনিক-আধুনিক বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার রাজ্যগুলির আওতাধীন এই অঞ্চলটি ছিল। এটি ছিল বাংলার বংশগত নবাব এবং রাজ্যের কোষাগার, রাজস্ব অফিস এবং বিচার বিভাগের আসন। বাংলা ছিল সবচেয়ে ধনী মুঘল প্রদেশ। মুর্শিদাবাদ ছিল একটি বৈশ্বিক শহর। ১৭৫০ এর দশকে এর জনসংখ্যা ৭ লাখে পৌঁছেছে। এটি ছিল জগৎ শেঠ এবং আর্মেনীয়দের সহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিস্তৃত ইউরেশিয়ার ধনী ব্যাংকিং এবং বণিক পরিবারগুলির বাড়ি
এলাকাটি প্রাচীন বাংলায় গৌড় রাজ্য এবং বঙ্গ রাজ্যের অংশ ছিল ।
মুর্শিদাবাদের আগের নাম ছিল মুখসুসাবাদ, লোকে বলতো মুখসুদাবাদ। তারও আগে নাম ছিল সৈদাবাদ। আইন-ই-আকবরি-তে উল্লেখ আছে - মখসুস খাঁ নামে একজন ওমরাহ ছিলেন দিল্লীর বাদশা আকবরের অধীনে রাজমহলের ফৌজদার। তার ভাই সৈয়দ খাঁ ছিলেন আকবরের অধীনে বাংলার সুবাদার (১৫৮৭ - ১৫৯৫ সাল)। সুবাদার সৈয়দ খাঁর নাম থেকে সৈদাবাদ হয়েছিল। সয়েরউল-মুতাক্ষরীণ এ উল্লেখ আছে তারও আগে নাম ছিল কুলাডিয়া।
মখসুস খাঁ পর্তুগীজদের বাংলা থেকে তাড়ানোর জন্য সৈন্য নিয়ে আসেন। ষোলো শতকের শেষ দশকসমূহে বাংলা এবং বিহারে দায়িত্ব পালন করেন মখসুস খাঁ। তিনি একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করেন এবং দোকান দ্বারা একে ঘিরে রাখেন। স্থানটি তার নামানুসারে মুখসুসাবাদ বা মুখসুদাবাদ নামে পরিচিত হয়।
১৭০৪ সালে নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ রাজস্ব আদায় কেন্দ্র ঢাকা থেকে স্থানান্তরিত করেন মুখসুদাবাদে। তারপর দিল্লীর সম্রাট ঔরঙ্গজেবের অনুমতি পেয়ে নিজের নামে মুখসুদাবাদের নাম পরিবর্তন করে রাখেন মুর্শিদাবাদ।মুর্শিদাবাদ বাংলা,বিহার ও ওড়িষার রাজধানী ছিল।
জাহানকোষা - আনুমানিক ১৭০৪-০৫ সালে নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ ঢাকা থেকে রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত করবার সময় ওই কামানটি এখানে নিয়ে আসেন।
কাটরা মসজিদ - এটি ১৭২৩ এবং ১৭২৪ সালের মধ্যে নির্মিত হয়। এখানে নওয়াব মুর্শিদকুলি খাঁ-এর সমাধি রয়েছে। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম কাফেলা কেন্দ্রের একটি।
নিজামত ইমামবাড়া - এটি 1740 খ্রিস্টাব্দে নবাব সিরাজউদ্দৌলা দ্বারা নির্মিত এবং 1842 এবং 1846 সালের অগ্নিকাণ্ডে এটি ধ্বংস হওয়ার পরে নবাব মনসুর আলী খান 1847 সালে পুনর্নির্মাণ করেন। এটি প্রায়শই এ পৃথিবীতে বৃহত্তম ইমামবাড়া হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
বাচ্চাওয়ালি তোপ - ১৮৪৬ সালে নিজামত ইমামবাড়ার অগ্নিকাণ্ডের পর ইমামবাড়াটি পুনর্নির্মাণ করা হয়, তারপর নতুন ইমামবাড়ার সমাপ্তির পর কামানটিকে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত করা হয় তখন মুর্শিদাবাদে গভর্নর জেনারেলের এজেন্ট স্যার হেনরি টরেন্সের পরামর্শে পবিত্র নিজামত ইমামবাড়ার স্থপতি সাদেক আলী খান দ্বারা ।
হাজার দুয়ারী রাজপ্রাসাদ - এটি ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যার নবাব দ্বিতীয় মুবারাক আলী খান (1824-1838) এর অধীনে স্থপতি ডানকান ম্যাক্লিওড দ্বারা নির্মিত হয়েছিল ।
#murshidabad
#westbengal
#kolkata
#travel
#travelling
#traveling
#weekendtrip
#onedaytrip
#kolkatabuzz
#kolkatavlog
#kolkatadiaries
#kolkatanews
#vlog
#vlogger
#vlogging
#vlogs
#vlogvideo
#hazarduari
#imambada
#katra
#katramasjid
#berhampore
#kathgodam
#kathgola
#sInce92_offIcIal