মডেলদের ভিড়ে হাসফাঁস কুমোরটুলি
Partha's Travel Records Partha's Travel Records
987 subscribers
60 views
0

 Published On Oct 2, 2024

১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজের পতন হয়েছিল। এর পর থেকেই সুতানটি আর পাশের গ্রাম কলকাতাতে পটপরিবর্তন শুরু হয়।গ্রামগঞ্জ থেকে আসা মানুষজন ভিড় জমালো কলকাতায়।পেশাভিত্তিক পাড়া বিভক্ত হলো। যেমন, শুড়ি পাড়া, কলুটোলা, ছুতোর পাড়া,এবং কুমোর টুলি।এভাবেই কুমোরটুলির (Kumartuli) উদ্ভব ঘটে।

প্রথমদিকে কলকাতাতে বসবাসরত জনগণের প্রয়োজনীয় হাঁড়ি, কলসি, ঘটি, বাটি, থালা এগুলির জোগান দিতে থাকে কুমোরটুলির শিল্পীরা। নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে পুতুল গড়ার কারিগররা আসতে শুরু করলেন রুটিরুজির আশাতে। কালের নিয়মে মাটির বাসন গুরুত্ব হারাতে লাগল, এলো কাঁসা পিতলের বাসন।


এই পরিস্থিতিতে মৃৎশিল্পীরা পুতুল বানাতে শুরু করলেন।সেগুলি সুতানটি বাজারে বিক্রি করতে লাগলেন। পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলার ক্ষমতা দখল নিল ইষ্ট্ ইন্ডিয়া কোম্পানী। কলকাতা বানিজ্য কেন্দ্র হয়ে উঠল।পাশাপাশি তৈরি হলো একদল বাবু ,লোভী-অলস–ধনী নাগরিক সমাজ। প্রাথমিকভাবে তথাকথিত কুমোরেরা এই সব বিত্তশালী শ্রেণীর বাড়ির পুজোর দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করতে লাগল। ধীরে ধীরে কুমোরটুলি হয়ে উঠল প্রতিমা তৈরির প্রাণকেন্দ্র।।


সময় এগিয়েছে, বেড়েছে পুজোর সংখ্যা। আজ শুধু কলকাতা নয়, শহর পেরিয়ে বিদেশ পাড়ি দেয় মাটির প্রতিমা। ঝাঁ চকচকে কলকাতার একপাশে গঙ্গার ধারে টালির চালের বস্তিতে মাটি রঙ তুলির পাঁচালি নিয়ে ‘তিলোত্তমা’ গড়ে চলেছেন কুমোরটুলির (Kumartuli) মৃৎশিল্পীরা। অনেক না পাওয়ার মধ্যে হার না মানা লড়াই। সরু গলির মধ্যে সারা বছর ধরে গড়ে উঠছে নানান প্রতিমা

show more

Share/Embed