|| Shantiniketan Tour 2024 ||শান্তিনিকেতন ভ্রমণ ২০২৪|| Kankalitala Temple || Kopai ||Visva Bharati||
💚 Kaushik Paul's Creation 💚 💚 Kaushik Paul's Creation 💚
447 subscribers
285 views
11

 Published On Oct 5, 2024

🔶 শান্তিনিকেতন হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের একটি পাড়া। পাড়াটি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তাঁর পুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে আরো বিকাশিত করেছিলেন। এখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে তাঁর অবস্থানের ফলে শান্তিনিকেতন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরে পরিণত হয়। ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে শান্তিনিকেতন। ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সেই মর্মে ঘোষণা করে ইউনেস্কো তাদের ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের কমিটির ৪৫ তম অধিবেশনের সিদ্ধান্ত ।


🔶 🔶 ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে (১২৭০ বঙ্গাব্দে) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার ভুবন মোহন সিংহের কাছ থেকে দুটি ছাতিম গাছসহ ২০ একর জমি বার্ষিক ₹ ৫  ইজারায় কিনেছিলেন। তিনি একটি অতিথিশালা তৈরি করেছিলেন এবং নাম রেখেছিল "শান্তিনিকেতন" (শান্তির স্থান) । ক্রমশ সমগ্র এলাকাটি শান্তিনিকেতন হিসেবে পরিচিতি পায়।

🔶 🔶 🔶 বিনয় ঘোষের মতে উনিশ শতকের মাঝে বোলপুর একটি ছোট বসতি ছিল এবং শান্তিনিকেতনের বৃদ্ধির ফলে এটি প্রসারলাভ করেছিল। বোলপুরের কিছু অংশ রায়পুরের সিংহ পরিবারের জমিদারির অংশ ছিল । ভুবন মোহন সিংহ বোলপুরে একটি গ্রাম তৈরি করেছিলেন এবং তার নাম রাখলেন ভুবনডাঙ্গা । ভুবনডাঙ্গা কুখ্যাত ডাকাতদের ডেরা ছিল, যারা লোকদের মারার জন্য দ্বিতীয়বার ভাবতো না । এর ফলে লড়াই ও বিতর্কে‌র পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ডাকাতদের নেতা অবশেষে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল এবং এলাকার বিকাশের জন্য তারা তাঁকে সাহায্য করেছিল।সেখানে একটি ছাতিম গাছ ছিল যার তলায় দেবেন্দ্রনাথ তপস্যা করতেন।

🔶 🔶 🔶 🔶 লন্ডনের হাইড পার্কের দ্য ক্রিস্টাল প্যালেসের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দেবেন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম উপাসনার জন্য এক ৬০ বাই ৩০ ফুট (১৮.৩ মি × ৯.১ মি) উপাসনা গৃহ তৈরি করেছিলেন। ছাদটি টালি করা এবং মেঝেটি সাদা মার্বেল পাথরের ছিল, কিন্তু বাকি ভবনটি কাচের ছিল। আদিকাল থেকেই এটি আশেপাশের লোকদের কাছে এক দর্শনীয় স্থান ছিল।

🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 ২৭ জানুয়ারি ১৮৭৮-এ (১৩ মাঘ ১২৮৪-এ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ১৭ বছর । ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে (১২৯৫ বঙ্গাব্দে) দেবেন্দ্রনাথ একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে সমগ্র এলাকাটিকে একটি ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন । ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে (১৩০৮ বঙ্গাব্দে) রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম চালু করেছিলেন যা ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে (১৩৩২ বঙ্গাব্দে) পাঠ ভবন নামে পরিচিত ।১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ।এটি ঠাকুর পরিবারের মাথায় নতুন পালক, যারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলার জীবন ও সমজের বিভিন্ন দিককে সমৃদ্ধ করেছিলেন । কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির পরিবেশ সাহিত্য, গান, চিত্রকলা ও নাটকে সমৃদ্ধ ছিল ।১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর (১৩২৮ বঙ্গাব্দের ৮ পৌষ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপস্থিতিতে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন এবং ১৯৫১ সালে এটি ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে ।

🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 এলাকাটি অজয় নদ ও কোপাই নদী দ্বারা আবদ্ধ। শান্তিনিকেতনে একদা গভীর অরণ্য ছিল কিন্তু মাটি ক্ষয়ের ফলে কিছু এলাকা খটখটে বলে মনে হয়। এটি স্থানীয়ভাবে খোয়াই নামে পরিচিত। তবে উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে ভারতের বাকি জায়গা থেকে উদ্ভিদ শান্তিনিকেতনের কিছু অংশে বিকশিত হয়। চারিদিকের এলাকার পরিবেশ সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত হলেও শান্তিনিকেতনের মূল অংশটি প্রকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।


🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 শান্তিনিকেতন যেতে রেলপথ ও সড়কপথ একমাত্র মাধ্যম।

🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 রেলপথে : - এখানে ২টি রেলস্টেশন রয়েছে। দক্ষিণভাগে বোলপুর শান্তিনিকেতন রেলওয়ে স্টেশন ও উত্তরভাগে প্রান্তিক। দুটি স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সম দূরত্বে অবস্থিত। বোলপুর তুলনামূলক ব্যস্ততম স্টেশন।

🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 🔶 তথ্যসূত্র : আন্তৰ্জাল


📌 DISCLAIMER : All the content and images on this channel belong to us and are protected under copyright law. Kindly don't copy or reproduce content without our prior explicit permission .

show more

Share/Embed