গুপ্তিপাড়ার রথ/গুপ্তিপাড়ার রথ উৎসব/রথযাত্রা/ভান্ডার লুট/বারোয়ারি/বৃন্দাবন জিউ মন্দির
CHANNEL TATOBHUMI CHANNEL TATOBHUMI
1.64K subscribers
73 views
2

 Published On Jul 6, 2024

গুপ্তিপাড়ার রথ/গুপ্তিপাড়ার রথ উৎসব/রথযাত্রা/ভান্ডার লুট/বারোয়ারি/বৃন্দাবন জিউ মন্দির।
গুপ্তিপাড়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলী জেলার একটি প্রাচীন জনপদ। এই জায়গাটি চুঁচুড়া সদর মহকুমা ও বলাগড় থানার অধীন। গুপ্তিপাড়া ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত। ১৭৭৯ সালের রেনেলের মানচিত্রে দেখা যায় পার্শ্ববর্তী বেহুলা নদী গুপ্তিপাড়ার পাশ দিয়ে ভাগিরথী বা গঙ্গায় পড়েছে।বাংলার প্রথম বারোয়ারি পূজার প্রচলন হয় গুপ্তিপাড়ায়। এটি বিন্ধ্যবাসিনী জগদ্ধাত্রী পূজা নামে প্রচলিত। ১৭৬০ সালে (মতান্তরে ১৭৯০) কয়েকজন ব্যক্তি স্থানীয় সেন রাজাদের প্রচলিত দুর্গাপূজায় অংশ নেননি এবং নিজেরাই পূজা করার মনস্থির করেন। বারোজন ব্যক্তি মিলে প্রতিষ্ঠা করেন বিন্ধ্যবাসিনী বারোয়ারী পূজা। এখানে প্রাচীন সংস্কৃত শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে নানা টোল গড়ে উঠেছিল। সংস্কৃত ভাষার শিক্ষাবিদ, টোলের পন্ডিতেরা বসবাস কর‍তে থাকেন গুপ্তিপাড়ায়। এই সংক্রান্ত বহু পুঁথি স্থানীয় সরকারী গ্রন্থাগার 'শিশির বানী মন্দির পাঠাগারে' সংরক্ষিত আছে।
গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ১৭৪০ সালে শুরু করেন মধুসুদানন্দ।  ভান্ডার লুট গুপ্তিপাড়া রথের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। পুরীর রথের সঙ্গে গুপ্তিপাড়ার রথের ঠিক হল, পুরীর রথকে জগন্নাথ দেবের রথ বলে। আর গুপ্তিপাড়া রথকে বলে বৃন্দাবন জী⁷উর রথ। গুপ্তিপাড়া রথের বৈশিষ্ট হল, উল্টো রথের দিন এখানে ভান্ডার লুট হয়অন্য জায়গায় মতন এই দিন জগন্নাথ দেব তার মাসির বাড়িতে মানুষের অন্তরালে বন্ধ করে থাকেন। এই দিন জগন্নাথ দেবকে অনবদ্য ভোগ দেওয়া হয়। জগন্নাথের মাসির বাড়িতে ৫২টি লভিয়ান পদে প্রায় ৪০ কুইন্টাল খাবারের ' ভাণ্ডার লুট পালন করা হয়। । ভারতবর্ষের অংশ এই ভান্ডার হয়। 
কথিত আছে লক্ষীর সাথে কষাকষি পুলিশ জগন্নাথ লুকিয়ে মাটিতে এসে দাঁড়াবার জন্য। সেখানে ভাল খাবার পেয়ে জগন্নাথ মাসির বাড়িতেই যান। মনে লক্ষ্মীর সন্দেহ দানা বাঁধে যে স্বামীর মনে বিভ্রান্তি পরকীয়ার তা নেবার নির্দেশনা। পরে তিনি বৃন্দার কাছে জানতে পারেন যে জগন্নাথ মাসির বাড়িতে আশ্রয়স্থল। তারপরেই স্বামীকে স্বামীকে আনতে লক্ষ্মী লুয়ে গিয়ে মাসির সর্ষে পাড়েছি। কিন্তু, গ্রহ কোনো কাজ না বৃন্দাবন ও কৃষ্ণচন্দ্র নিয়ে মাসির বাড়িতে হন। 

সেখানে গিয়ে তারা ওয়েবন যে ঘরের বন্ধ। তাই লক্ষ্মীর অনুরোধ তার স্বামীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এগিয়ে যাওয়ার জন্য বৃন্দাবন ও কৃষ্ণচন্দ্র ঢাকেন। ঘরের কবিতা খুঁজে দেখতে তারা পান মালসায় করে বিভিন্ন পদের খাবার সাজানা রয়েছে। ভাল খাবার আফ্রিকার সামনে তারা সেই মালসা লুট করে সমস্ত পথ। যা ভাণ্ডার লুটপাপ সকলের কাছে পরিচিত। 

আবার সমর্থন অংশ, বৃন্দাবন চন্দ্র বোধসম্পন্ন ছিল। রাজা তার রাজ্যের শক্তিমানদের চিহ্নিত করার জন্য এই ভান্ডারকে চিহ্নিত করেছেন। যারা বেশি সংখ্যায় ভাণ্ডার লুট করে তাদের বৃন্দাবন চন্দ্র তার মন্দির পাহারার দায়িত্বে নিয়াগ করতে।

তবে প্ররোচনা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করার জন্য একটি বিকল্প এখনও প্রতি বছর উল্টোরথের দিন মাসির ঘরের মন্দিরের সামনে খেলা হয়। ঘরের ভিতরটারি খাবারের পদ মালসায় সাজানো থাকে। খেলার পর এই প্রসাদ নেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এই মালসা ভোগ।
ভান্ডারলুটের জন্য গোবিন্দভোগ চাল খিচুড়ি , বেগুন ভাজা, কুমড়ো ভাজা, ছানার রসা, পায়েস , ক্ষীর , ফ্রেদে রাইস, মালপোয়া , সন্দেশ , ও রাবড়ি সহ মোট ৫২টি পদে খাবার সহ প্রায় ৫৫০ টি মালসা করা হচ্ছে। মালসা প্রায় ৫ থেকে ৮ কেজি করে খাবার থাকে। 
এই কর্মযজ্ঞের জন্য ১০ জন রাঁধুনি ও ১০ জন হেল্পার মেট ২০ জন রান্নার কাজ করেন। নিয়ম করে দুপুর বাড়ির ঘরের সকলে তৈরি করে মালসায় ভোগপ্রসাদ সাজিয়ে রাখা হয়।(wikipedia)
#incredible india
#travel
#ratha
#kalna
#history
#Guptipara
#কালনা
গুপ্তিপাড়ার রথ
গুপ্তিপাড়ার রথ উৎসব
শ্রী শ্রী বৃন্দাবন জিউ মন্দির

show more

Share/Embed