Published On Oct 3, 2024
এদেশের উলামায়ে কুফফার তারা জনাব আবু সাঈদ খান সাহেবকে কাফের মনে করে অথচ তারা নিজেরাই কাফের।
রবের বিশেষ বার্তাবাহক রাসূল ও রবের বিশেষ খবরদাতা নবীকে গালি দেওয়া নিয়ে আল কুরআনের আয়াতের বিপক্ষে আরবের ইতিহাসের মোঃ নামক ব্যক্তির কুরআন বিরোধী হাদিস। যে হাদিস রবের মুসলিমরা নয়, মুসলমানেরা মানে।
প্রথমে জেনে নিন আল কুরআনের আয়াত। যা অবিশ্বাস করলে কাফের হতে হবে।
وَقُلِ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّکُمۡ ۟ فَمَنۡ شَآءَ فَلۡیُؤۡمِنۡ وَّمَنۡ شَآءَ فَلۡیَکۡفُرۡ ۙ اِنَّۤا اَعۡتَدۡنَا لِلظّٰلِمِیۡنَ نَارًا ۙ اَحَاطَ بِہِمۡ سُرَادِقُہَا ؕ وَاِنۡ یَّسۡتَغِیۡثُوۡا یُغَاثُوۡا بِمَآءٍ کَالۡمُہۡلِ یَشۡوِی الۡوُجُوۡہَ ؕ بِئۡسَ الشَّرَابُ ؕ وَسَآءَتۡ مُرۡتَفَقًا ٢٩
[১৮:২৯] তুমি বলে দাও! তোমাদের রবের কাছ থেকেই তো এই সত্য এসেছে। যার খুশি ঈমান আনবে, আর যার খুশি সে কুফরির মাধ্যমে অস্বীকার করবে। আমি অত্যাচারী জালিমদের জন্যই আগুন তৈরি করে রেখেছি। তার বেড়া তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখবে। তারা যখন ফরিয়াদ করবে, তখন তাদেরকে এমন ফুটন্ত পানি দিয়ে তাদের ফরিয়াদ পুরা করা হবে, তা যেন গলানো তামা। মুখ তাতে সেদ্ধ হয়ে যাবে। কত নিকৃষ্ট পানীয় আর বিশ্রামের কত জঘন্য জায়গা।
لَۤا اِکۡرَاہَ فِی الدِّیۡنِ ۟ۙ قَدۡ تَّبَیَّنَ الرُّشۡدُ مِنَ الۡغَیِّ ۚ فَمَنۡ یَّکۡفُرۡ بِالطَّاغُوۡتِ وَیُؤۡمِنۡۢ بِاللّٰہِ فَقَدِ اسۡتَمۡسَکَ بِالۡعُرۡوَۃِ الۡوُثۡقٰی ٭ لَا انۡفِصَامَ لَہَا ؕ وَاللّٰہُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ٢٥٦
[২:২৫৬] ইসলামি জীবনব্যবস্থায় কোনো বলপ্রয়োগ নেই। সুষ্ঠু সঠিক পথ, ভ্রান্ত পথ থেকে সুস্পষ্টরূপে আলাদা করে বলে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, যে কেউ শায়ত্বনি চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে, আল্লহ্ তাআলার উপর ঈমান আনবে, সেই তো মজবুত আশ্রয় পাবে, যা কখনো টুটবে না। আর আল্লহ্ শোনেন ও জানেন সবই।
وَمِنۡہُمُ الَّذِیۡنَ یُؤۡذُوۡنَ النَّبِیَّ وَیَقُوۡلُوۡنَ ہُوَ اُذُنٌ ؕ قُلۡ اُذُنُ خَیۡرٍ لَّکُمۡ یُؤۡمِنُ بِاللّٰہِ وَیُؤۡمِنُ لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَرَحۡمَۃٌ لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡکُمۡ ؕ وَالَّذِیۡنَ یُؤۡذُوۡنَ رَسُوۡلَ اللّٰہِ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ٦١
[৯:৬১] আর মানুষের মধ্যে যারা (বিশেষ খবরদাতা) নবীকে কষ্ট দেয়, আর বলে, নবী তো কথা শোনার ব্যাপারে বড়ই সাদাসিধা। তুমি বলে দাও! নবীর কথা শোনার ব্যাপারে মনোযোগিতার দরুন মঙ্গল তো তোমাদের হয়ে থাকে। যে ঈমান আনে আল্লহ্ তাআলার উপর এবং মুমিনদেরকে বিশ্বাস করে। আর তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনবে, তাদের জন্য রাহমাত রয়েছে। আর যারা আল্লহ্ তাআলার বার্তাবাহক রাসূলকে কষ্ট দিবে, তাদের জন্য কঠিন যন্ত্রণাদায়ক আজাব রয়েছে।
এবার জেনে নিন মুসলমানদের হাদিস। যা বিশ্বাস করলে কাফের হতে হবে।
মুসলমানদের এই কুরআন বিরোধী হাদিস কোরআনের মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ওয়া খাতামান নাবিয়্যীন দ্বারা সত্যায়িত না।
আরবের মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব বিন হাসিমকে গালি দিলে কিংবা কটুক্তি করলে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা দোষের কিছু নয়।
আবু দাউদ এর হাদিস নম্বর ৪৩৬১
একজন মুসলমানের কাছে আরব ইতিহাসের মোঃ নিজের প্রাণের চেয়ে, নিজের সন্তানের চেয়ে, নিজের মা-বাবার চেয়ে এবং তার যাবতীয় সম্পদ থেকে প্রিয়। যদি কোন ব্যক্তির এমন মোহাব্বত না থাকে, তাহলে লোকটি প্রকৃত মুসলমানই নয়। আরব্য মোঃ এর হাদীসে রয়েছে,
আনাস হতে বর্ণিত, আরব্য মোঃ বলেছেন, কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার পিতা-মাতা, এবং তার সন্তান ও সমস্ত মানুষ থেকে আমাকে বেশি মোহাব্বত করবে।
{সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭৭}
ধর্মকে কটাক্ষ্য করা, আরব্য মোঃ নামক ব্যক্তিকে গালাগাল দেয়া, অশ্লিলভাবে উপস্থাপন করা ভিন্ন জিনিস। তাকে যারা গালি দেয়, অপমানিত করে, অসম্মানজনক কথা বলে বা লিখে, সে মুরতাদ।
সে তওবা না করলে হত্যা করা মুসলমান ধর্মের বিধান। এরকম কুলাঙ্গারের এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। সকল সৃষ্টির মাঝে যিনি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, তার যে কুৎসা রটায় এমন কুলাঙ্গারের এই জগতে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই।
এই বিধান শুধু মুসলমান সমাজে নয়, রহিত ও বিকৃত ধর্ম ইহুদী ও খৃষ্টান ধর্মেও আছে।